আব্দুর রহমান আল-মোবারকপুরী (মৃত্যু: ১৩৫৩ হিঃ)
সংক্ষিপ্ত অনুবাদ: সাব্বির রায়হান বিন আহসান হাবিব
[অধ্যয়নরত, কিং আব্দুল আযীয বিশ্ববিদ্যালয় কো-অর্ডিনেটর, আল-ইলম একাডেমী]
আল্লামা সিদ্দীক হাসান খান ভূপালী কিন্নাওজী রহিমাহুল্লাহ (মৃত্যু: ১৩০৭হিঃ) বলেন (আল-হিত্তাহ ফী যিকরি সিহাহিস সিত্তাহ: ১৪৫-১৪৬):
‘জেনে রাখা উচিত যে, ভারতবর্ষে ইসলাম বিজয় লাভের সময় থেকে সেখানে ইলমুল হাদীসের চর্চা যেন সালফাইডের ন্যায় দুর্লভ এবং রূপকথার আনক্বা পাখির মতোই অবাস্তব ছিল। সেখানকার জনগণ তখন প্রাচীন যুগের গ্রীক দর্শন নিয়ে বেশি ব্যস্ত ছিল। উলুমুস সুন্নাহ ও কুরআন থেকে তাদের যারপরনাই দূরত্ব দেখা যেত, তবে অল্পস্বল্প ফিকহের আলোচনা ঠিকই হতো। যার দরুন তারা এখনো কুরাআন-সুন্নাহর ইলম থেকে বিবস্ত্র, কিন্তু দর্শনশাস্ত্রে সুসজ্জিত। আজকাল তাদের অধিকাংশের মূলভিত্তি হলো ফিকহে হানাফীর তাকলীদ, যেখানে নেই কোন তাহকীক (অনুসন্ধান)। তবে আল্লাহ যাদের উপর রহম করেছেন তারা ব্যতীত।
পরম্পরা সূত্রে এভাবেই চলতে থাকে। একপর্যায়ে তাদের মাঝে ফতওয়ার সংখ্যা বেড়ে যায়। সমাজে তাকলীদ হয়ে যায় সাধারণ একটি বিষয়। সুস্পষ্ট দলিল-প্রমাণ বর্জন করা হয়। শ্রেষ্ঠ মানবের (রাসূল ﷺ ) সুন্নাহ হয়ে পড়ে পরিত্যাজ্য। হাদীস-ভিত্তিক ফিকহ এবং সুন্নাহ-ভিত্তিক ইজতিহাদ পরিত্যাগ করা হয়।
এভাবেই চলে যায় যুগের পর যুগ; আল্লাহ ﷻ হিন্দের (ভারতীয় উপমহাদেশ) উপর অনুগ্রহ করেন। ভারতীয় উপমহাদেশের কতিপয় আলেমকে ইলম দান করেন। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য মুখগুলো হলেন-
শায়খ আব্দুল হক্ব সাইফুদ্দীন আত-তুরক আদ-দেহলওয়ী (মৃত্যু: ১০৫২ হিঃ) ও প্রমুখ ব্যক্তিবর্গ। এই অঞ্চলে তিনিই সর্বপ্রথম ইলমুল হাদীস নিয়ে আগমন করেন এবং অত্যন্ত সুন্দরভাবে জনগণের মাঝে তা বিতরণ করেন। শায়খের মৃত্যুর পর তার সুযোগ্য সন্তান শায়খ নুরুল হক (মৃত্যু: ১০৭৩ হিঃ) এই উদ্যোগে এগিয়ে আসেন। এভাবে তার অল্পসংখ্যক ছাত্রকেও এই ময়দানে দেখা যায়। রাসূল ﷺ বলেছেন:
مَنْ سَنَّ فِي الإِسْلاَمِ سُنَّةً حَسَنَةً فَلَهُ أَجْرُهَا وَأَجْرُ مَنْ عَمِلَ بِهَا بَعْدَهُ
যে ব্যাক্তি ইসলামে কোন নেক প্রথা চালু করবে, সে তার নেককর্মের সাওয়াব পাবে এবং ঐ ব্যাক্তির সম পরিমাণ সাওয়াবও লাভ করবে যে ব্যাক্তি তার পরে ঐ নেক আমল করবে। (সহীহ মুসলিম: ১০১৭)
এসকল সৎকর্মশীলদের হাদীস বর্ণনার ধরণ যদিও নিরেট মুকাল্লিদ ফকীহদের পদ্ধতিতে ছিল, বিশিষ্ট মুহাদ্দিসদের পদ্ধতিতে নয়; তবুও তারা ইসলাম ও মুসলিমদের জন্য এগুলোর মাধ্যমে অসামান্য খেদমত করে গিয়েছেন। আল্লাহ ﷻ তাদেরকে উত্তম প্রতিদান দিন এবং তাদের উপর তাঁর রহমতের বারিধারা বর্ষন করুন।
তাদের পর আল্লাহ ﷻ এমন এক সর্বেসর্বা মুহাদ্দিসকে পাঠালেন যিনি ছিলেন সেসময়ের বিশিষ্ট কথক, প্রজ্ঞাপূর্ণ এক অসাধারণ ব্যক্তিত্ব এবং প্রকৃত নেতা, তিনি হলেন শায়খ ওয়ালিউল্লাহ বিন আব্দুর রহীম আদ-দেহলওয়ী (মৃত্যু: ১১৭৬ হিঃ)। এরপর একে একে তার সুযোগ্য সন্তান-সন্ততিরা এই ইলমের প্রচারে সচেষ্ট হয়। এক সময় যে দেশে ইলমুল হাদীস ছিল নিতান্তই বিরল, সেখানে তাদের হাত ধরেই এই ইলম সজীব হয়ে ওঠে। আল্লাহ ﷻ তাদের ইলমের মাধ্যমে মুমিন বান্দাদের অনেক উপকার করেছেন। তাদের সচেষ্ট পরিশ্রমের মাধ্যমে আল্লাহ ﷻ সমাজ থেকে ফিতনা, শিরক, বিদআত ও দ্বীনে নতুন কিছু আবিষ্কারের পথ বন্ধ করে দিয়েছেন। তারা ইলমুস সুন্নাহকে অন্য যেকোন ইলমের উপর প্রাধান্য দিয়েছেন এবং ফিকহকে করেছেন সুন্নাহ-র অনুগামী ও সুন্নাহ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।
তাদের হাদীস বর্ণনার রীতি আহলুর রেওায়াত ও আহলুদ দিরায়াহ-এর হাদীস বর্ণনার রীতি সম্মত। তাদের লিখিত কিতাবাদি, ফাতাওয়া, পাণ্ডুলিপিগুলো এর জ্বলন্ত সাক্ষী। এরপরও কারো মাঝে সন্দেহ দানা বেঁধে থাকলে সে যেন তাদের কিতাবাদি অধ্যয়ন করে নেয়। যতদিন ভারতীয় উপমহাদেশ ও তার জনগণ বর্তমান থাকবে, ততদিন তাদের উচিত এই মহান ব্যক্তিত্বদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা।” (একটি কবিতা সমেত শায়খের বক্তব্য এখানেই শেষ)
মোটকথা, শায়খ ওয়ালিউল্লাহ মুহাদ্দিস আদ-দেহলওয়ী (রহঃ) ভারতীয় উপমহাদেশে ইলমুল হাদীসের বৃক্ষ রোপণ করেন। এক পর্যায়ে এই গাছটি ধীরে ধীরে শক্তিমত্তায় পৌঁছাতে শুরু করে, ডালপালা দীর্ঘ হতে থাকে এবং পত্র-পল্লব ছড়িয়ে পড়তে পড়তে গ্রাম-গঞ্জ, শহরতলিকে ঢেকে ফেলে। এভাবে ইলমুল হাদীসের এই গাছটির শাখাপ্রশাখা প্রতিটি কোণায় পৌঁছে যায়। একটি বিরাট দল ইলমুল হাদীস ও নববী সুন্নাহ-এর প্রচারণার উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়েন। তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে আরো একটি বিশাল দলের আবির্ভাব ঘটে যারা ইলমুল হাদীসকে তড়িৎ গতিতে মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার কাজে সচেষ্ট ছিলেন। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হিসেবে রয়েছেন শায়খের সুযোগ্য সন্তান: শায়খ শাহ আব্দুল আযীয, শায়খ আল্লামা শাহ আব্দুল গণী, শায়খ আল্লাম শাহ আব্দুল কাদের, শায়খ আল্লামা, শাহ রফীউদ দ্বীন। তন্মধ্যে আরো রয়েছেন: শায়খ আল্লামা মুহাম্মাদ মুঈন (দিরাসাতুল লুবাবের লেখক), আল্লামা কাজী সানাউল্লাহ (তাফসীরে মাযহারী-র লেখক) সহ এরকম আরো অসংখ্য আলেমে দ্বীন, যারা ইলম, তাকওয়া, আল্লাহভীতি ও দুনিয়াবিমুখতায় ছিলেন নিজ সময়ের ইমাম। তাহকীক ও ইতকানের দিক থেকে তারা ছিলেন সবার আগে। তাদের অন্তরে হাদীস ও মুহাদ্দীসদের প্রতি অগাধ ভালোবাসা উজার করে ঢেলে দেওয়া হয়েছিল।
ইলমুল হাদীস ও কুরআনের প্রতি অত্যাধিক গুরুত্ব দেওয়ার দিক থেকে শায়খ শাহ আব্দুল আযীয ছিলেন অন্যন্য। তিনি ছিলেন একাধারে ফকীহ, মুফাসসির এবং মুহাদ্দিস। তার যখন ১৭ বছর তখন তার সম্মানিত পিতা মারা যান। এভাবে পিতার অনুপস্থিতিতে তাদরীস, ইফতা, মানুষকে হেদায়াতের বাণী শোনানোর মতো দায়িত্ব তার হাতে এসে পড়ে। মানুষ তার প্রতি ঝুঁকে পড়ে। দ্বীন ও শরীয়তের বিভিন্ন বিষয়ে তিনি হয়ে ওঠেন জনগণের প্রত্যাবর্তনস্থল। জীবনের শেষ অবধি তিনি দারস-তাদরীসের কাজে রত ছিলেন। সকল ধরণের ইলম ছিল তার নখদর্পনে; বিশেষ করে হাদীস ও তাফসীর বিষয়ে তিনি অগাধ পাণ্ডিত্য অর্জন করেছিলেন। উভয় ময়দানে তার সচেষ্ট বিচরণ ও অবদান বর্ণনাতীত। তার ইলমী প্রচারণার ফলে অসংখ্য আলেমে দ্বীন, আবেদ ও মহান ব্যক্তিত্ব গড়ে ওঠে। তন্মধ্যে রয়েছেন মহান মুজাহিদ ও বীরপুরুষ সাইয়্যেদ আল্লামা শাহ মুহাম্মাদ ইসমাঈল শহীদ বিন শাহ আব্দুল গণী, শাহ আব্দুল আযীযের কন্যার পুত্র প্রখ্যাত মুহাদ্দিস শাহ মুহাম্মাদ ইসহাক আদ-দেহলওয়ী আল-মুহাজির আল-মাক্কী, শাহ মাখসূসুল্লাহ বিন শাহ রফীউদ দ্বীন, শাহ আব্দুল হাই আল-বাদহানাওয়ী, শায়খ হাসান আলী আল-হাশিমী আল-লখনৌ সহ প্রমুখ ব্যক্তিবর্গ। তাদের মাঝে বিশেষ করে শাহ মুহাম্মাদ ইসহাক ছিলেন বড়োই ইবাদতগুজার, সাধক, আল্লাহভীরু, অগাধ জ্ঞানসম্পন্ন এবং পথ-প্রদর্শক। শাহ আব্দুল আযীযের পর তিনি তার আপন নানার মজলিসে বসেন। মানুষ তার ইলম দ্বারা উপকৃত হন। তিনি ছিলেন সেসময়ের হাদীসের পণ্ডিত। তার হাত ধরে পরবর্তীতে একদল বিজ্ঞ আলেমে দ্বীনে গড়ে ওঠে; তন্মধ্যে রয়েছেন – শায়খ সাইয়্যেদ মুহাম্মাদ নাযীর হুসাইন আদ-দেহলওয়ী, শায়খ মুহাদ্দিস আব্দুল গণী বিন আবূ সাঈদ আল-মুজাদ্দেদী আদ-দেহলওয়ী সুম্মা আল-মাদানী, নওয়াব কুতুবুদ্দীন (মাযাহিরু হাক্ব বইয়ের লেখক), শায়খ ফযল রহমান আল-মুরাদ আবাদী, শায়খ আল্লামা মুহাক্কিক মুহাম্মাদ নাসির আল-হাযেমী সহ আরো বহু আলেমে দ্বীন। অতঃপর এক পর্যায়ে শাহ মুহাম্মাদ ইসহাক মক্কায় হিজরত করেন এবং ইলমুল হাদীস প্রসারের এই অসামান্য কাজে তার স্থলে শাইখুনা সাইয়্যেদ মুহাম্মাদ নাযীর হুসাইন আদ-দেহলওয়ী-কে রেখে যান, যিনি ছিলেন সে যুগের অদ্বিতীয় ব্যক্তিত্ব, দিগন্তের ভ্রমণে সর্বশেষ মেরু, আরব ও অনারবের শায়খ, ১৩ শত বর্ষের শুরুর মুজাদ্দিদ (সংস্কারক), একাধারে মুহাদ্দিস, মুফাসসির ও ফকীহ।
তিনি দারস ও তাদরীসের দায়িত্ব নেন, মানুষকে বিভিন্ন ইলমী বিষয়ে ফায়দা প্রদান করেন এবং ওয়ায-নসীহত করেন। দীর্ঘ ১২টি বছর তিনি সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয়ে দারস প্রদান করেন। অতঃপর একপর্যায়ে তিনি কুরআন ও হাদীসের দারস দেওয়ার উপর বেশি ঝুঁকে পড়েন, যার ফলে পরবর্তীতে এই দুইটি ময়দান ব্যতীত শুধুমাত্র ফিকহ ছাড়া অন্য সকল বিষয় থেকে নিজেকে দূরে রাখেন। এমনকি তিনি জীবনের শেষ অবধি অর্থাৎ, ১২৭০ হিঃ থেকে ১৩২০ হিঃ পর্যন্ত এই তিনটি বিষয়ের উপর দারস প্রদান করেন। সুদীর্ঘ ৬২টি বছর তিনি এই তিনটি ইলমের তাদরীস নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। তার ইলমের কারণে কত মানুষ উপকৃত হয়েছে তার কোনো হিসাব নেই। তার ইলম প্রসারের আলোয় তিনি দেশ-বিদেশ আলোকিত করেন। ভারতীয় উপমহাদেশ, আরব ছাড়াও তার ছাত্ররা পৃথিবীর কোণায় কোণায় ছড়িয়ে পড়ে। এমন কোনো শহর কিংবা এমন কোনো গ্রাম নেই যেখানে তার মেশকের সুঘ্রাণ, ইলমের বিচ্ছুরণ পৌঁছায়নি। তার ইলমের আলো থেকে কিছু আহরণের জন্য, তার জ্ঞানের সমুদ্র থেকে এক আজলা পানি নেওয়ার জন্য, তার উত্তম চরিত্র থেকে কিছুটা হলেও পাওয়ার নিমিত্তে, তার আদব-শিষ্টাচারের কিছু নিজের করে নিতে বহু মানুষ নিজ বাহনকে তার কাছে হাঁকিয়ে নিয়ে যেত। মানবসমাজে তার অসামান্য অবদান রয়েছে। পুরো জীবনটাই তিনি দ্বীন প্রচারের কাজে কাটিয়ে দিয়েছেন। দ্বীনি ইলমের প্রচার-প্রসার আর সুন্নাহ-র বিস্তারকল্পে নিজের সহায়-সম্পত্তি বিলিয়ে দিয়েছেন। ইলম, মর্যাদা, চারিত্রিক উৎকর্ষতা, প্রজ্ঞা, দানশীলতা, নম্রতা, ক্ষমাশীলতা, অধিক ইবাদাত, আল্লাহভীতি, তাকওয়া, দুনিয়াবিমুখতার দিক থেকে সে সময় তার মতো আর দ্বিতীয় কেউ ছিল না। তার সংকলিত গ্রন্থগুলো তার ইলমের সাক্ষ্য বহন করে।
ভারতীয় উপমহাদেশে ইলমুল হাদীসের প্রচার-প্রসার ও সুন্নাহকে জাগ্রতকরণে আরো যাদের অবদান রয়েছে তন্মধ্যে আরো উল্লেখযোগ্য হলেন শায়খ হুসাইন বিন মুহসিন আল-আনসারী আল-খাযরাজী, আস-সা‘দী আল-ইয়ামানী। তিনি ইয়ামান থেকে ইলম অর্জন করে আসার পর আরবদের মাঝে সেই বারাকাহ ছড়িয়ে দেন। অতঃপর তিনি নওয়াব সিকান্দার বেগমের শাসনামলে ভূপালে সেখানকার কাজী নিজ ভাই আল্লামা যাইনুল আবেদীনের কাছে যান। সেখানে সিকান্দার বেগমের সাথে দেখাও করেন। এই সুবাদে তিনি শায়খকে সম্মান করেন, তার হাতে দারুল হাদীসের দায়িত্ব অর্পণ করেন এবং তাকে উলূমুল হাদীস পাঠদানের নির্দেশ দেন। এর ফলে সেখানকার অনেকেই তার ইলমের মাধ্যমে উপকৃত হন। তার সুখ্যাতি পুরো ভারতে ছড়িয়ে পড়ে। অসংখ্য তালিবে ইলম তার থেকে হাদীসের জ্ঞান আহরণের জন্য দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসে। ভূপালে আসার এক বা দুই বছর পর শায়খ হুসাইন বিন মুহসিন আল-আনসারী সিকান্দার বেগমের কাছে ইয়ামানের আল-হুদাইদাহ শহরে ফিরে যাওয়ার অনুমতি চাইলে তিনি অনুমতি দেন। তিনি তার দেশে ফিরে যান। সিকান্দার বেগমের মৃত্যুর পর তার কন্যা শাহজাহান বেগম ক্ষমতায় বসেন এবং সাইয়্যেদ আল্লামা সিদ্দীক হাসান কিন্নাউজীকে বিবাহ করেন। অতঃপর তিনি শায়খুনা হুসাইন বিন মুহসিন আল-আনসারীকে তার পরিবার সহ ভূপালে আসার অনুরোধ করেন এবং এবং ভূপালকে নিজের দেশ মনে করতে বলেন। শায়খ তার আহ্বানে সাড়া দেন এবং সেখানেই (ভূপালে) স্থায়ী নিবাস গড়ে তোলেন। তার মৃত্যু অবধি তিনি সেখানে ইলমের খেদমত আঞ্জাম দিয়ে এসেছেন (মৃত্যু: ১৩২৭ হিঃ) রহিমাহুমুল্লাহ।
সূত্র: মুকাদ্দিমাতু তুহফাতিল আহওয়াযী বি শারহি জামি‘ আত-তিরমিযী, পৃষ্ঠা: ৪৬-৪৯।