কুরআন বুঝার জ্ঞান: উলূমুল কুরআন সংকলক: ড. মুহাম্মাদ আহমাদ মুইয উসতাযুল কুরআন, কিং আব্দুল আযীয ইউনিভার্সিটি, সৌদি আরব অনুবাদ: সাব্বির রায়হান বিন আহসান হাবিব অধ্যয়নরত, শারীয়াহ এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, কিং আব্দুল আযীয ইউনিভার্সিটি শুরুর কথা: আল-কুরআনুল কারীম ইসলামের চিরস্থায়ী মু‘জিযা (মু‘জিযা: এমন অনন্যসাধারণ ও অলৌকিক বিষয় যার মাধ্যমে আল্লাহ ﷻ তাঁর নাবী ও রাসূলগণকে শক্তিশালী করেন এবং তাদের জাতির প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে থাকেন [মাজমূ ফাতাওয়া, ইবনে তাইমিয়্যাহ])। কুরআনকে কেন্দ্র করে যেকোন ইলমী অগ্রগমন তার অলৌকিকত্বকে আরো সুদৃঢ় করে তোলে। মানবজাতিকে অন্ধকার থেকে আলোর পথে নিয়ে আসতে এই কুরআনের অবতরণ। রাসূল ﷺ তাঁর সাহাবাগণের কাছে এই কুরআনের শাশ্বত বাণী পৌঁছে দিতেন। আর সাহাবাগণ সেটা তাদের স্বভাবজাত বুঝ ক্ষমতা দ্বারা বুঝে নিতেন (কারণ তারা ছিলেন খাঁটি আরব)। আর কোনো আয়াত বুঝতে অসুবিধা হলে তারা রাসূল ﷺ কে সেসম্পর্কে জিজ্ঞাসা করতেন। শাইখাইন (ইমাম বুখারী ও মুসলিম) এবং অন্যান্য রাবীগণ ইবনে মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, যখন এ আয়াতে কারীমা নাযিল হল: [الَّذِينَ آمَنُوا وَلَمْ يَلْبِسُوا إِيمَانَهُمْ بِظُلْمٍ] যারা ঈমান এনেছে এবং তাদের ঈমানকে যূল্মের দ্বারা কলুষিত করেনি [আনআম-৮২]। তখন তা মুসলিমদের পক্ষে কঠিন হয়ে গেল। তারা আরয করলেন, ইয়া রাসূলআল্লাহ! আমাদের মধ্যে কে এমন আছে যে নিজের উপর যূল্ম করেনি? তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, এখানে অর্থ তা নয় বরং এখানে যুল্মের অর্থ হল শির্ক। তোমরা কি কুরআনে শুননি? লুকমান তাঁর ছেলেকে উপদেশ প্রদানকালে কি বলেছিলেন? তিনি বলেছিলেন, "হে আমার প্রিয় ছেলে! তুমি আল্লাহর সাথে শির্ক করো না। কেননা, নিশ্চয়ই শির্ক এক মহা যুল্ম।" [সহীহ বুখারী: ৩৪২৯। সুলতানিয়্যাহ ছাপা] ইমাম মুসলিম উকবাহ বিন আমের (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে মিম্বারের উপর আসীন অবস্থায় আমি বলতে শুনেছি, আল্লাহ তায়ালার বানী: [وَأَعِدُّوا لَهُمْ مَا اسْتَطَعْتُمْ مِنْ قُوَّةٍ] “এবং তোমরা তাদের মোকাবেলায় শক্তি সঞ্চয় করে রাখো।” [আনফাল:৬০] জেনে রাখো, শক্তি হচ্ছে তীরন্দাযী, জেনে রাখো শক্তি হচ্ছে তীরন্দাযী, জেনে রাখো শক্তি হচ্ছে তীরন্দাযী। [সহীহ মুসলিম: ১৯১৭, মুহাম্মাদ ফুয়াদ আব্দুল বাকী-র তাহকীক] সাহাবীগণ রাসূল ﷺ থেকে কুরআন শিখতেন, মুখস্থ করতেন এবং অনুধাবন করতেন: এটা তাদের জন্য অনেক মর্যাদার বিষয় ছিল। আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “আমাদের মাঝে কেউ সূরা বাকারাহ ও আলে ইমরান পাঠ করলে তাকে বড়ো মনে করা হতো/তিনি যেন আমাদের মাঝে বিরাট অংশের অধিকারী। [শাইখাইনের শর্তানুপাতে সহীহ, মুসনাদে আহমাদ: ১২২১৫, মুয়াসসাসাতুর রিসালাহ] একইভাবে সাহাবাগণ আমলের প্রতিও যথাযথ উৎসাহী ছিলেন: আবূ আব্দুর রহমান আস-সুলামী থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “উসমান ইবন আফ্ফান, আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ প্রমুখ যারা আমাদেরকে কুরআন শিক্ষা দিতেন তারা বলেছেন, তারা যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে দশটি আয়াত শিখতেন, যতক্ষণ পর্যন্ত তা ভালোভাবে না শিখতেন ও তাতে যে সকল জ্ঞান ও আমল করার কথা রয়েছে তা বাস্তবায়ণ না করতেন ততক্ষণ পর্যন্ত সামনে অগ্রসর হতেন না। তারা বলেন, আমরা এভাবেই কুরআন, জ্ঞান ও আমল সবই শিখেছি।” [মাজমূ ফাতাওয়া, ইবনে তাইমিয়্যাহ: ৭/১৬৮, মালিক ফাহাদ প্রেস] কুরআনের মাঝে অন্যকিছুর মিশ্রণ ঘটে যেতে পারে, এই আশংকায় রাসূল ﷺ সাহাবাগণকে প্রথমে কুরআন লিপিবদ্ধ করার অনুমতি দেননি। পরবর্তীতে তিনি কিছুসংখ্যক সাহাবীকে হাদীস লেখার অনুমতি দেন। ততদিন পর্যন্ত কুরআন শুধুমাত্র তালকীন প্রক্রিয়ায় (মৌখিকভাবে শেখানো ও বুঝানো) চর্চা হতে থাকে। এমনকি খলীফা আবূ বকর ও ওমরের (রাঃ) যুগেও একই পদ্ধতির অনুসরণ করা হয়। [রাসূল ﷺ এর ওয়াফাতের পর কুরআন মানুষের মুখস্থে অথবা বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে লেখা ছিল। আবূ বকর (রাঃ) সেগুলোকে একত্রিত করেন।] অতঃপর উসমান (রাঃ) এর খেলাফতকালে বিভিন্ন প্রয়োজনে মুসলিম জাতিকে এক মুসহাফে একত্রিত করা আবশ্যক হয়ে পড়ে, যেটাকে আল-মুসহাফুল ইমাম বলে অবিহিত করা হয়। এই মুসহাফের একাধিক কপি দেশে দেশে পাঠানো হয়। উসমান (রাঃ) এর দিকে সম্পৃক্ত করে মুসহাফের লেখাকে ‘রসমে ওসমানী’ বলা হয়। এখান থেকেই ইলমু রসমিল কুরআন (علم رسم القرآن) বা কুরআনের বর্ণ চিত্রায়ন বিষয়ক জ্ঞানের সূচনা। অতঃপর আলী (রাঃ) এর খেলাফতকালে তারই নির্দেশে আবুল আসওয়াদ আদ-দুওয়ালী নাহূ-বিষয়ক নিয়মকানূন প্রবর্তন করেন। এর ফলে কুরআন তেলাওয়াতের সময় উচ্চারণগত ভুল থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব হয়। এখান থেকেই মূলত ইলমু ই‘রাবিল কুরআন (علم إعراب القرآن) কুরআনের শব্দের শেষ বর্ণের স্বরধ্বনি নিরূপণ বিষয়কে জ্ঞানের পথচলা শুরু। পরবর্তী সময়গুলোতে সাহাবাগণ কুরআনের অর্থ ও তাফসীর মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার কাজে মনোনিবেশ করেন। এক্ষেত্রে তাদের যোগ্যতা ও বুঝশক্তির ভিন্নতা, রাসূল ﷺ এর সাহচর্য ও তাবেঈদের মধ্যে তাদের ছাত্রদের প্রচার-প্রসারের তারতম্য অবশ্যই লক্ষণীয়। সাহাবীদের মাঝে যারা তাফসীর বিষয়ে প্রসিদ্ধ: চার খলিফা, ইবনে মাসউদ, ইবনে আব্বাস, উবাই বিন কাব, যাইদ বিন সাবিত, আবূ মূসা আল-আশআরী, আব্দুল্লাহ বিন যুবাইর (রাদিয়াল্লাহু আনহুম)। তন্মধ্যে ইবনে আব্বাস, ইবনে মাসউদ এবং উবাই বিন কাব-কর্তৃক (রাদিয়াল্লাহু আনহুম) বর্ণিত তাফসীরের সংখ্যা বেশি। তবে তাদের বর্ণনার মাঝে পুরো কুরআনের তাফসীর অন্তর্ভুক্ত ছিল না। বরং যে সকল আয়াতের ব্যাখ্যা নিতান্তই প্রয়োজন ছিল তারা শুধুমাত্র সেগুলোর তাফসীর করেছেন। অতঃপর তাবেঈদের মাঝেও অনেক প্রসিদ্ধ মুফাসসির ছিলেন, যারা সাহাবাগণ থেকে কুরআনের জ্ঞান শিখেছেন এবং প্রাপ্ত জ্ঞান অনুযায়ী কিছু আয়াতের তাফসীরেও মনোনিবেশ করেছেন। বিশেষত তখন তাফসীরের তিনটি মাদরাসা ছিল: ১. মক্কা। শিক্ষক: ইবনে আব্বাস (রাঃ)। ছাত্র (তাবেঈন): সাঈদ বিন জুবাইর, মুজাহিদ, ইকরিমা (ইবনে আব্বাসের আযাদকৃত দাস), ত্বউস বিন কায়সান আল-ইয়ামানী, আত্বা বিন আবূ রবাহ। ২. মাদীনাহ। শিক্ষক: উবাই বিন কাব (রাঃ)। ছাত্র: যাইদ বিন আসলাম, আবুল আলিয়াহ, মুহাম্মাদ বিন আব আল-কুরাযী। ৩. ইরাক। শিক্ষক: ইবনে মাসউদ (রাঃ)। ছাত্র: আলক্বমাহ বিন ক্বাইস, মাসরূক, আল-আসওয়াদ বিন ইয়াযীদ, আমির আশ-শাবী, আল-হাসান আল-বসরী, ক্বতাদাহ বিন দিয়ামাহ আস-সাদূসী। উল্লিখিত ব্যক্তিবর্গের বর্ণনার মাঝে তাফসীর, গরীবুল কুরআন (অপরিচিত শব্দাবলী), শানে নুযূল, মাক্কী-মাদানীর জ্ঞান, নাসেখ-মানসূখ ইত্যাদি বিষয়ের ইলম বা জ্ঞান স্থান পেয়েছে। তবে এসবই তালকীনের উপর নির্ভরশীল ছিল, কোনোকিছু সংকলিত ছিল না। সংকলনের যুগ: ইসলামী ইলম দ্বিতীয় শতকে সংকলনের ছোঁয়া পায়। এসময় অধ্যায় আকারে হাদীসে নববীর সংকলন শুরু হয়। কোনো কোনো আলেম এর মাঝেই রাসূল ﷺ অথবা সাহাবী অথবা তাবেঈদের সূত্রে বর্ণিত তাফসীর একত্রিত করেন। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য – ইয়াযীদ বিন হারূন আস-সুলামী (মৃত্যু: ১১৭ হিজরি), শুবাহ বিন আল-হাজ্জাজ (মৃত্যু: ১৬০ হিজরি), ওয়াকী বিন আল-জাররাহ (মৃত্যু: ১৯৭ হিজরি), সুফইয়ান বিন উয়াইনাহ (মৃত্যু: ১৯৮ হিজরি), আব্দুর রাযযাক বিন আল-হুমাম (মৃত্যু: ২১১ হিজরি)। তারা ছিলেন হাদীসশাস্ত্রের ইমাম। তাদের হাদীস সংকলনের মাঝেই তাফসীর বিষয়ে কিছু অধ্যায় নিয়ে এসেছিলেন। তবে তাদের সংকলিত তাফসীর আমাদের কাছে পৌঁছেনি। শুধুমাত্র আব্দুর রাযযাক বিন আল-হুমামের (রহঃ) এর সংকলিত তাফসীর পাওয়া যায়। এরপর তাদেরই পদাঙ্ক অনুসরণ করে একদল আলেম আয়াতের ধারাবাহিকতা অনুসারে কুরআনের সম্পূর্ণ তাফসীর প্রণয়ন করেন। তন্মধ্যে ইবনে জারীর আত-ত্ববারী (মৃত্যু: ৩১০ হিজরি) প্রসিদ্ধি লাভ করেন। এভাবেই তাফসীর শাস্ত্র সর্বপ্রথম তালকীন ও রেওয়ায়াত প্রক্রিয়ায় বর্ণনা শুরু হয়। অতঃপর হাদীস শাস্ত্রের অধ্যায় আকারে সংকলিত হয়। অতঃপর স্বতন্ত্রভাবে তাফসীর শাস্ত্র সংকলিত হয়। সেসময় তাফসীর ছাড়াও কুরআনের সাথে সম্পৃক্ত বিভিন্ন বিষয়ভিত্তিক সংকলন পাওয়া যায়। যেমন – • ইমাম বুখারীর শিক্ষক আলী ইবনুল মাদীনী (মৃত্যু: ২২৩ হিজরি) শানে নুযূল (আসবাবুন নুযূল) বিষয়ে সংকলন করেন। • আবুল কাসিম বিন সাল্লাম (মৃত্যু: ২২৪ হিজরি) সংকলন করেন নাসেখ-মানসূখ ও কিরাআত বিষয়ে। • ইবনু কুতাইবার (মৃত্যু: ২৭৬ হিজরি) সংকলিত বিষয় ‘মুশকিলুল কুরআন ওয়া গরীবুহূ’ (কুরআনের অপরিচিত শব্দাবলী নিয়ে সংকলিত)। হিজরি তৃতীয় শতকের আলেমগণ ও তাদের সংকলন: মুহাম্মাদ বিন খলাফ আল-মারযুবান (মৃত্যু: ৩০৯ হিজরি)। সংকলন: (الحاوي في علوم القرآن) আবূ বকর মুহাম্মাদ বিন কাসিম আল-আন্মবারী (মৃত্যু: ৩২৮ হিজরি)। সংকলন: (علوم القرآن) আবূ বকর আস-সিজিস্তানী (মৃত্যু: ৩৩০ হিজরি)। সংকলন: (غريب القرآن) মুহাম্মাদ বিন আলী আল-ইদফাউই (মৃত্যু: ৩৮৮ হিজরি)। সংকলন: (الاستغناء في علوم القرآن) হিজরি চতুর্থ শতকের আলেমগণ ও তাদের সংকলন: আবূ বকর আল-বাকিলানী (মৃত্যু: ৪০৩ হিজরি)। সংকলন: (إعجاز القرآن) আলী বিন ইবরাহীম আল-হূফী (মৃত্যু: ৪৩০ হিজরি)। সংকলন: (إعراب القرآن) আল-মাওয়ারদী (মৃত্যু: ৪৫০ হিজরি)। সংকলন: (أمثال القرآن) আল-ইয বিন আব্দুস সালাম (মৃত্যু: ৬৬০ হিজরি)। সংকলন: (مجاز القرآن) ইলমুদ দ্বীন আস-সাখাউই (মৃত্যু: ৬৪৩ হিজরি)। সংকলন: (علم القراءات) ইবনুল কায়্যিম (মৃত্যু: ৭৫১ হিজরি)। সংকলন: (أقسام القرآن) এই সকল বিষয়কে একই মলাটে সংকলন: কোনো কোনো আলেমের মতে, মিশরে অবস্থিত দারুল কুতুবে (প্রকাশনী) আলী বিন ইবরাহীম আল-হূফী কর্তৃক সংকলিত ‘আল-বুরহান ফী উলূমিল কুরআন’ (البرهان في علوم القرآن) নামে একটি গ্রন্থ পাওয়া যায়। বইটি মোট ৩০ খণ্ডে, যার মাঝে ১৫টি খণ্ড (অধারাবাহিক) পাওয়া যায়। আল-হূফী (রহঃ) এই বইটি এভাবে সাজিয়েছেন: প্রথমে তিনি মুসহাফের ধারাবাহিকতা অনুসারে একটি আয়াত উল্লেখ করেছেন। অতঃপর উক্ত আয়াতের সাথে সম্পৃক্ত সকল বিষয়কে শিরোনাম আকারে নিয়ে এসেছেন। অর্থাৎ, প্রথমে আয়াত নিয়ে আসার পর তার নীচে ইরাব সংক্রান্ত আলোচনা নিয়ে এসেছেন, যেখানে তিনি নাহূ ও ভাষাগত আলোচনা করেছেন। অতঃপর আয়াতের অর্থ ও তাফসীর; যেখানে তিনি আয়াতের ব্যাখ্যা বা তাফসীর করার ক্ষেত্রে শরয়ী উদ্ধৃত (তাফসীর বিল মা’সূর) ও যুক্তি বা রায়ের ব্যবহার করেছেন (তাফসীর বিল মা‘কূল)। অতঃপর ওয়াকফ ও তামাম; যেখানে আল-হূফী (রহঃ) তেলাওয়াতের ক্ষেত্রে কোথায় ওয়াকফ বা থামা জায়েয বা নাজায়েয সে বিষয়ে আলোকপাত করেছেন। আবার তিনি ইলমুল কিরাআতের জন্যও আলাদা শিরোনামে আলোচনা করেছেন। এই পদ্ধতি অনুসারে আল-হূফী (রহঃ) হলেন উলূমুল কুরআন (কুরআন বিষয়ক জ্ঞান) শাস্ত্রের প্রথম সংকলক। যদিও তার নিজস্ব পদ্ধতি অনুসারেই তিনি সংকলন করেছেন। তার পরর্তীতে ইবনুল জাওযী (রহঃ) (মৃত্যু: ৫৯৭ হিজরি) সংকলন করেন (فنون الأفنان في عجائب علوم القرآن)। অতঃপর বদরুদ্দীন আয-যারকাশী (রহঃ) (মৃত্যু: ৭৯৪ হিজরি) উম্মতকে একটি সমৃদ্ধ বই দিয়ে যান যার নাম (البرهان في علوم القرآن)। অতঃপর এই বইয়ের সাথে পরবর্তীতে জালালুদ্দীন আল-বালকীনী (রহঃ) (মৃত্যু: ৭২৪ হিজরি) কিছু অতিরিক্ত সংযোজন করেন এবং সেই সংকলনের নাম দেন (مواقع العلوم من مواقع النجوم)। অতঃপর জালালুদ্দীন সুয়ুতী (রহঃ) (মৃত্যু: ৯১১ হিজরি) রচনা করেন উলূমুল কুরআন শাস্ত্রের প্রসিদ্ধ গ্রন্থ (الإتقان في علوم القرآن)। (পরবর্তী প্রবন্ধ: কুরআনের ক্বারী ও কিরাআত। ইন শা আল্লাহ...) #উলূমুল_কুরআন। পর্ব: ০১